বাঙ্গালী
Friday 26th of April 2024
0
نفر 0

'সারাবিশ্বে মুসলিম ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য ইরানের উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়'

'সারাবিশ্বে মুসলিম ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য ইরানের উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়'

রেডিও তেহরান: পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন কেন গুরুত্বপূর্ণ ও তাতপর্যপূর্ণ?

 

মাওলানা মাহবুবুর রহমান: আপনার প্রশ্নের আলোকে আমি বলব রাসূল (সা.)র জীবনের তিনটি দিক রয়েছে। ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.), সিরাতুন্নবী(সা.) এবং হায়াতুন্নবী (সা.)। রাসূল (সা.)র জীবন অন্য মানুষের জীবনের মতো নয়। রাসূলের জন্ম অন্য মানুষের জন্মের মতো নয়। অন্য মানুষের জন্ম যেদিন হয় সেদিন থেকে তার জীবন শুরু হয়। যখন কোনো সৃষ্টিই ছিল না তখন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন রাসূল (সা.) নূর সৃষ্টি করেন। নূর জগতে তিনি কোটি কোটি বছর থাকেন। আল্লামা জালালুদ্দিন সিউতি (র.) একটি গ্রন্থে লিখেছেন, হাজার হাজার বছর আল্লাহর হাবিব তাঁকে সেখানে রেখেছিলেন। রুহের জগতে আল্লাহ তায়ালা সমস্ত নবী রাসূলদের নিয়ে সম্মেলন করেন। সেই সম্মেলনে আল্লাহর হাবিবের আনুগত্যের শপথ পড়ান। পবিত্র কুরআন মজীদে বলা হয়েছে,' তোমরা কী রাসূলের আনুগত্য ও বশ্যতা স্বীকার করো? তখন নবীরা সবাই বলেন, হ্যাঁ আমরা রাসূলের বশ্যতা ও আনুগত্য স্বীকার করি। তখন আল্লাহ নবীদের ওপর চারটি দায়িত্ব দেন। রাসূলে পাক (সা.)র তা'জীম করা, রাসূলে পাকের শানে মানজুম তুলে ধরা,আল্লাহর হাবীবের জীবনকে আলোচনায় আনা এবং সর্বশেষ হলো সেটা প্রচার করা।

আমরা ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখতে পাই হযরত আদম(আ.)থেকে শুরু করে হযরত ঈসা (আ.) পর্যন্ত সকল নবী রাসূলগণ হযরত মুহাম্মাদ (স.) র জীবন নিয়ে আলোচনা করেছেন। তওরাত, যাবুর ও ইনজিলে হুজুরের জীবনী এসেছে। ১২ ই রবিউল আউয়াল সোমবার মতান্তরে ১৭ রবিউল আউয়াল- হুজুর (সা.) দুনিয়াতে এসেছেন। তো রাসূলে পাক (সা.)র দুনিয়াতে আগমন পর্যন্ত যতগুলো ঘটনা ঘটেছে তার সবই ঈদে মিলাদুন্নবীর অংশ। ঈদে মিলাদুন্নবী ইবাদত নয় এটি ঈমানের সঙ্গে সম্পর্কিত। এইজন্য ঈদে মিলাদুন্নবী(সা.) উদযাপন করা এবং এ দিনে খুশী হওয়া একজন মুমিনের ঈমানের আলামত। এইজন্য আমরা দেখি সারাবিশ্বে-আল্লামা সাকাফি,আল্লামা নাবাবী থেকে শুরু করে তের লক্ষাধিক আলেম ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন করেছেন। এমনকি দেওবন্দের ওলামায়ে কেরামগণও ঈদে মিলাদুন্নবীর পক্ষে কাজ করেছেন। আমাদের পাক ভারত উপমহাদেশে ফুরফুরা, শর্শিনা থেকে শুরু করে যত সিলসিলা আছে সবাই ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন করেছেন। ফলে ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন হচ্ছে হুজুরের প্রতি মহব্বত সৃষ্টি করা, তার মর্যাদাকে জানা এবং তার সুন্নতকে অনুসরণ করার অনুপ্রেরণা সৃষ্টি করা। এইজন্যেই ঈদে মিলাদুন্নবীর গুরুত্ব অপরিসীম। সে কারণে আমি বলতে চাই, ঈদে মিলাদুন্নবী- ঈমানের সাথে সম্পর্কিত। এর বিরোধীতা করা কোনো মুমিনের কাজ নয়। স্পষ্ট করে বলতে চাই ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা একজন মুমিনের ঈমানের অংশ; মহব্বতের অংশ এবং অবশ্যই করণীয় এবং পালনীয়।

 

রেডিও তেহরান: জ্বি, ইসলামী ইরানের পক্ষ থেকে চালু হওয়া ইসলামী ঐক্য সপ্তাহ পালনের প্রেক্ষাপটে এই দিবস পালনের গুরুত্ব কী বেড়েছে বলে আপনি মনে করেন?

 

মাওলানা মাহবুবুর রহমান: জ্বি, ইসলামী ঐক্য সপ্তাহ পালনের প্রেক্ষাপটে এই দিবস পালনের গুরুত্ব অবশ্যই বেড়েছে বলে আমি মনে করি। এটা বিশাল একটি বিষয়। ইসলামী বিপ্লবের রূপকার ইমাম খোমেনী (র.) সমগ্র মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের ভিত্তি স্থাপন করেছেন ঐক্য সপ্তাহ পালনের ঘোষণার মধ্যে দিয়ে। মানুষের নামাজের মধ্যে এখতেলাফ হতে পারে, ইবাদতের মধ্যে এখতেলাফ হতে পারে কিন্তু রাসূল (সা.) নিয়ে কোনো এখতেলাফ নেই। আর এ জন্য শিয়া হোক কিম্বা সুন্নি হোক তাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার একটি প্লাটফর্ম রাসূল (সা.) জীবন। যদি মুসলমানরা রাসূল(সা.) কে জানার ও চেনার চেষ্টা করেন, তাকে আমল করেন, তাঁকে ভক্তি শ্রদ্ধা ও মহব্বত করেন তাহলে ব্যক্তি,পরিবার, সমাজ ,রাষ্ট্র ও অর্থনীতি সব ক্ষেত্রে সফলতা আসবে। তিনি আমাদের সকলের জীবনের আদর্শ। আল্লাহতায়ালা বলেছেন, তোমাদের জন্য রসূলে পাকের মধ্যেই রয়েছে সর্বোত্তম আদর্শ। রাষ্ট্রীয়ভাবে ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে হুজুর(সা.) জীবনের বিকল্প নেই। আর সেজন্যে মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের প্লাটফর্ম হলো রাসূল(সা.) জীবন। ফলে ইসলামী ঐক্যসপ্তাহ মুসলিম জাতির জন্য একটি নেয়ামত। ইমাম খোমেনী(র.) ইসলামী ঐক্যসপ্তাহ'র যে ঘোষণা দিয়েছিলেন সেটি অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত। আজকের ঝঞ্জা-বিক্ষুব্ধ দুনিয়ায় মুসলিম ঐক্যের জন্য ঐক্যসপ্তাহ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। আর ঐক্য না হওয়া পর্যন্ত মুসলিম জাতির মুক্তি নেই। সারা দুনিয়া জুড়ে মুসলিমরা মার খাচ্ছে অনৈক্যের কারণে। তাই মৌলিক ক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার একটি প্লাটফর্ম হলে ঈদে মিলাদুন্নবী এবং হুজুরের জীবন। আর সেই দিক থেকে দিবসটি অত্যন্ত তাতপর্যবহ এবং ঐক্যের প্লাটফর্ম গড়ার জন্য একটি চেতনার খোরাক বলে আমি মনে করি। ইরানের বর্তমান রাহবার এবং প্রশাসনের ব্যক্তিরা সারাবিশ্বে মুসলিম ঐক্যের যে চেষ্টা করে যাচ্ছেন সেটি অত্যন্ত প্রশংসার দাবি রাখে। ইরানের মতো যদি বিশ্বের অন্যান্য মুসলিম দেশগুলোর সরকার এগিয়ে আসতো এবং সাড়া দিতো তাহলে কোনো ইহুদী, খৃষ্টান কিম্বা বিজাতীয়রা মুসলমানদের একটি পশমও স্পর্শ করতে পারবে না। আমি এ প্রসঙ্গে একটি উদাহরণ তুলে ধরতে চাই। ইমাম খোমেনী(র.) বলেছিলেন, মুসলিম উম্মাহর প্রতিটি মানুষ যদি এক বালতি করে পানি ঢেলে দেয় তাহলে ইসরাইল ভেসে যাবে। তাঁর একথাটা অত্যন্ত যুক্তিযুক্ত। অনৈক্যের কারণে আমাদের এই দুরবস্থা। ফলে আমি আবারও বলছি, ঐক্যের প্লাটফর্ম হিসেবে আমরা ঈদে মিলাদুন্নবীকে ব্যবহার করতে পারি।

 

রেডিও তেহরান: অনেকেই বলেন ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন একটি বিদাত। তো এই ঈদ নিয়ে তাদের সমস্যাটা কোথায়? এবং তাদের যুক্তিগুলো কেন ভুল বলে মনে করেন।

 

মাওলানা মাহবুবুর রহমান: জ্বি এটা অবশ্য ঠিকই সারা দুনিয়ায় একটা প্রশ্ন অনেকেই তুলছেন যে ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা বেদাআত। আসলে বারো'শ বছরের ইতিহাসে এই কথাটি সৌদি আরবে মোহাম্মাদ আবদুর রব নদভীরআগমনের আগে কেউ ঈদে মিলাদুন্নবী নিয়ে প্রশ্ন তোলেননি।কেউ ঈদে মিলাদুন্নবী নিয়ে দ্বিমত পোষণ করেননি। উনি এসে এটাকে বেদাআত বললেন। এটি আসলে একটি ইহুদীবাদী চক্রান্ত। কারণ ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের মাধ্যমে মুসলমানরা খুশী হবে, তারা ঐক্যবদ্ধ হবে, তারা ঐক্যসপ্তাহ পালন করবে এবং মহব্বত সৃষ্টি হবে। এটা হলে তো মুসলিম জাতিকে দমন করা যাবে না। আর সেই চক্রান্ত থেকে এটাকে তিনি বেদাআত ফতোয়া দিলেন। আর তিনি বেদাআতের যে সংজ্ঞা দিলেন সেটাও ছিল ভুল। নতুন কিছু উদভাবন বা নতুন কিছুকে বেদাআত বলা যায়। তবে রাসূল (সা.) জীবন তো নতুন উদ্ভাবন নয়। নূরের জগত থেকে কোটি কোটি বছর পার হয়ে ৫৭০ খৃষ্টাব্দে তিনি পৃথিবীতে এসেছেন। তাঁর জীবনের পুরোটা ঈদে মিলাদুন্নবী। এটা বেদাআত হয় কিভাবে! আজ যারা ঈদে মিলাদুন্নবীকে বেদাআত বলছেন তারা বেদাআতও বোঝেন না ; ঈদে মিলাদুন্নবীও বোঝেন না। রাসূল(সা.)র জন্ম হয়েছে কোটি কোটি বছর আগে। ফলে এটি কিভাবে বেদাআত হয়? আরেকটি বিষয় হলো-তারা বেদাআতের নতুন সংজ্ঞা আবিষ্কার করেছে। দেখুন বেদাআতের সংজ্ঞা কুরআন ও হাদিসে স্পষ্টভাবে তেমন কিছু লেখা নেই। তবে ইমাম সা'দী (র.) বাদশাহ হারুনুর রশীদের যুগে বিশাল কনফারেন্সের মাধ্যমে বেদাআতের সংজ্ঞা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, যেটি কুরআন, সুন্নাত, ইজমার খেলাফ হবে সেটা বেদাত। সেখানে আরো একটি কথা বলা হয়েছে। সেটা হচ্ছে-কুরআন সু্ন্নাহর খেলাফ না করে যে ব্যক্তি ভালো জিনিষ উদ্ভাবন করবে এবং উত্তম কাজ আবিষ্কার করবে সে তার সওয়াব পাবে। যেমন আরবি ভাষা বুঝতে হলে আরবী গ্রামার জানা লাগবে।এটা রাসূল্লাহর যুগে ছিল না। আর এটা বেদাআতে ওয়কেফাহ। যে জিনিষ আমাদের প্রয়োজন তার বিরোধিতা করা কোনো মুমিনের পক্ষে এবং কোনো জ্ঞানী লোকের পক্ষে সম্ভব নয়। যারা বেদাআতকে সংজ্ঞায়িত করেছেন তাদের সম্পর্কে আমি বলব তারা বেদাআত সম্পর্কে সঠিক সংজ্ঞা দিতে পারেননি। তারা রাসূল্লাহর সুন্নাতের খেলাপ কাজ করেছেন। তাছাড়া বেদাআতের ফতোয়া দিয়ে রাসূলের মহব্বতের কাজগুলোতে তারা বাধা দিচ্ছেন সেটি একটি আন্তর্জাতিক চক্রান্ত। এই চক্রান্ত আমাদেরকে রুখে দিতে হবে। আর এই চক্রান্ত করে রাসূলের মহব্বত থেকে দূরে রাখা যাবে না।

 

রেডিও তেহরান: বর্তমান বিশ্বপ্রেক্ষাপটে ইসলামী ঐক্য জোরদারের পথে সমস্যাগুলো কি এবং তা সমাধানের পন্থাগুলো কি।

 

মাওলানা মাহবুবুর রহমান: এটি খুবই মৌলিক ও গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন একটি প্রশ্ন। দেখুন বর্তমান বিশ্বে প্রায় ১৮০ কোটি মুসলমান। জিও পলিটিক্যাল অবস্থান মুসলমানদের ভালো, সম্পদ রয়েছে মুসলমানদের হাতে। বলা চলে সবকিছু মুসলমানদের হাতে থাকার পরও কেন মুসলমানদের এই দূরবস্থা? মুসলমানদের এই দূরবস্থার তিনটি কারণ রয়েছে। প্রথমটি হচ্ছে- আল্লাহর সার্বভৌমত্বকে মেনে নেব এই বিষয়টির প্রতি যদি মুসলিম প্রশাসন বা মুসলিম রাজনীতিবিদরা একমত হন তাহলে আর মুসলমানদের অনৈক্য থাকবে না। দ্বিতীয় বিষয়টি হচ্ছে-বিশ্বের মুসলিম দেশগুলোতে যে সংবিধান আছে সেটি হতে হবে কুরআন ও সুন্নাহার ভিত্তিতে। গণতন্ত্র, রাজতন্ত্র, সমাজতন্ত্র এভাবে যত তন্ত্র আছে এসব ঝেড়ে ফেলে দিয়ে সংবিধান করতে হবে কুরআন ও সুন্নাহর ভিত্তিতে।এমন একটি নেতৃত্ব থাকবে যা রাসূল্লাহ (সা.)র প্রতিনিধিত্ব করবে। সেখানে বেলায়েতে ফকীহ'র নেতৃত্বে দেশ চলবে। আজকে সারাবিশ্বের কুচক্রীমহল ও ইহুদীসহ বিভিন্ন জাতি চেস্টা করছে যেন মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত না হয়। ফলে মুসলমানদের মধ্যে ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য চেষ্টা করা দরকার। অনেক খুঁটিনাটি বিষয়কে গুরুত্ব না দিয়ে মৌলিক বিষয়ের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে মুসলিম সমাজকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আর সমাজকে গড়ে তোলার জন্য ওলামায়ে কেরাম ও চিন্তাশীল আলেমদেরকে সমস্ত লোভ লালসার উর্ধ্বে উঠে শুধুমাত্র আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য যদি সবাই ঐক্যবদ্ধ হয় তাহলে সেখানে অনৈক্য থাকবে না। আজ বিশ্বের দেশে দেশে সন্ত্রাস, বোমাবাজি, জঙ্গীবাদ হচ্ছে এসব পরিহার করে মানবতার ধর্ম;প্রেমের ধর্ম ইসলামকে মেনে নিলে ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হবে। আর তার জন্য ওলামায়ে কেরাম,ইমাম,সমাজচিন্তক, ফকীহ ও আইনজ্ঞদের মধ্যে ঐক্য দরকার। আর ঐক্যের প্লাটফর্ম হচ্ছে রাসূল(সা.)র জীবন। আর মুসলমানদের মধ্যে মস্ত অভাব হচ্ছে নীতির। তারা ইমামদের কথা বলেন কিন্তু তারা তাদের জীবনকে ধারণ করেন না। আমরা আশা করব সবাই রাসূলের জীবন; ইমামদের জীবনকে ধারণ করব।

 


source : www.abna.ir
0
0% (نفر 0)
 
نظر شما در مورد این مطلب ؟
 
امتیاز شما به این مطلب ؟
اشتراک گذاری در شبکه های اجتماعی:

latest article

কুবানির পাশ্ববর্তী গ্রামগুলো ...
হিজবুল্লাহকে নিয়ে আতংকে তেল আবিব ...
উত্তর ও পূর্ব সীমান্ত বন্ধ করে ...
তিনি কখনোই নিজের কাজ স্ত্রী ও ...
বিমানের প্রথম হজ ফ্লাইট ৪ আগস্ট
আবু তালিব (আ.) এর ঈমান আনয়নের বিষয়ে ...
২৮০ জন শরণার্থীকে সমুদ্রে ...
সৌদি ঘাঁটিতে ব্যালিস্টিক ...
কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনীর সঙ্গে ...
সৌদি মদদপুষ্ট পক্ষ ইয়েমেনের ...

 
user comment