আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা –আবনা-: আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে গতকাল (বৃহস্পতিবার, ২৩ জুলাই) স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে ‘রৌশনায়ী মুভমেন্টে’র সমাবেশস্থল ‘দেহ মাযাং’ চত্বরে এ বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।
ঘটনার পর আহতদেরকে দ্রুত হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এ সময় এ্যাম্বুলেস স্বল্পতার কারণে আহত অনেক ব্যক্তিকে পুলিশের গাড়ীতে করে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
হামলার বিষয়ে বিস্তারিত জানা না গেলেও প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন জানিয়েছেন, ‘হামলাটি ছিল আত্মঘাতী।’
বলা হচ্ছে, সমাবেশে উপস্থিত জনতার মাঝে ৩টি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন যে, আত্মঘাতী ব্যক্তিরা মেয়েদের পোশাক পরেছিল এবং তারা নিজেদেরকে জনগণের মাঝে বিস্ফোরিত করেছে।
এদিকে, বিবৃতি প্রদান করে কাবুলের এ আত্মঘাতী হামলার দায় স্বীকার করেছে সন্ত্রাসী গোষ্ঠি দায়েশ।
অপর এক বিবৃতিতে কাবুলের এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে তালেবান। তালিবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ গণমাধ্যমে পাঠানো এক ইমেইলে জানান, ‘তারা এ হামলার নেপথ্যে ছিলেন না।’। এ সময় হামলার সাথে জড়িতদেরকে আফগানিস্তানের শত্রু বলে আখ্যায়িত করেন তিনি।
আফগান স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ সন্ত্রাসী হামলায় ৬৪ জন শহীদ এবং ২৩৬ জন আহত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল ব্যানার। তারা ‘বৈষম্যের মৃত্যু হোক’ বলে শ্লোগান দিচ্ছিল। তুর্কমেনিস্তান থেকে কাবুলে ৫০০ কিলোভোল্টের ট্রান্সমিশন লাইন শিয়া হাজারা-অধ্যুষিত বামিয়ান ও ওয়ারডাক প্রদেশের মধ্য দিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সরকার কর্তৃক এ রুট পরিবর্তনের প্রতিবাদে সমবেত হয়েছেল জনতা।
এ বিদ্যুৎ লাইনের জন্য জার্মান কোম্পানির ভাষ্যমতে বামিয়ান প্রদেশের রুটটি ছিল সবচেয়ে উপযুক্ত। কিন্তু আফগান সরকার বিশেষজ্ঞদের সাথে কোন পরামর্শ ছাড়াই রুট পরিবর্তন করে সালাং এর উপর দিয়ে এ লাইন নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করলে হাজারা সম্প্রদায়ের লোকের ক্ষুব্ধ হয়। এ জনগোষ্ঠী মূলত দেশের মধ্যভাগে বসবাস করেন। তারা অনেকদিন ধরেই আফগানিস্তানে বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে, নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে তালিবান শাসনের সময় তাদের এ অভিযোগ ছিল বেশি। এ সম্প্রদায়ের অনেকে তখন পাকিস্তান, ইরান ও তাজিকিস্তানে পালিয়ে যান।#