বাঙ্গালী
Friday 19th of April 2024
0
نفر 0

ঢাকার চকবাজারে ভয়াবহ আগুন: নিহত অন্তত ৫৩

ঢাকার চকবাজারে ভয়াবহ আগুন: নিহত অন্তত ৫৩

হাসপাতালে কর্তব্যরত কর্মীরা জানান, ইতিমধ্যে ব্যাগে ভর্তি করে ৫৩জনের মৃতদেহ বের করা হয়েছে।

আবনা ডেস্কঃ বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার চকবাজার এলাকার একটি পাঁচতলা আবাসিক ভবনে ভয়াবহ আগুন লাগার ঘটনায় অন্তত ৫৩ জন নিহত ও অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৩৫টি ইউনিট।
লালবাগ শাহী মসজিদের পেছনের চুড়িহাট্টার ওই ভবনে বুধবার রাত ১০টা ৩৮ মিনিটের দিকে আগুন লাগে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি।
হাসপাতালে কর্তব্যরত কর্মীরা জানান, ইতিমধ্যে ব্যাগে ভর্তি করে ৫৩জনের মৃতদেহ বের করা হয়েছে। নিহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক লে. কর্নেল জুলফিকার বলছেন, এক একটি ব্যাগে একাধিক লাশ থাকতে পারে। তিন বলছেন, ভেতরে আরো অনেক লাশ থাকতে পারে।
হাসপাতালে যেসব আহত মানুষকে ভর্তি করা হয়েছে তাদের মধ্যে অনেকে অগ্নিদগ্ধ এবং বাকিদের বিভিন্ন স্থানে জখম রয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের পর দ্রুত নামতে জখম হন অনেকে। লাফিয়ে নামতে গিয়ে হাত-পাও ভেঙেছেন কেউ কেউ।ঢাকা মেডিকেল কলেজ ফাঁড়ির এসআই বাচ্চু মিয়া বলেন, আহত আরও অনেকে আসছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, ফায়ার সার্ভিসের শতাধিক কর্মীসহ অনেকেই এখানে কাজ করছেন। ইনশাআল্লাহ অল্প সময়ের মধ্যে আমরা এই আগুন নেভাতে সক্ষম হব। নগরবাসী, দেশবাসী সবার দোয়া চাচ্ছি, যাতে করে সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করতে পারি।
এক প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, এই মুহূর্তে আমাদের লক্ষ্য হলো আগুন নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসা। যারা আহত হয়েছেন তাদের যথাযথ চিকিৎসা দেয়া। আগুন নিয়ন্ত্রনে আসার পর আমরা ঘটনার তদন্ত করব। কেন, কিভাবে আগুন লেগেছে সে সম্পর্কে জানাতে পারব।
ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনালের আলী আহাম্মেদ খান বলেন, আগুন লাগার পর থেকেই পর্যায়ক্রমে ফায়ার সার্ভিসের অন্তত ৩৫টি ইউনিটের দুইশতাধিক ফায়ার ফাইটার্স কাজ করছে। এই জায়গাটা আসলে সংকীর্ণ, আমাদের পানির সঙ্কট হয়েছিল। এখানে বিভিন্ন ধরণের ক্যামিকেল আছে। আমরা দ্রুত আগুন নেভানোর চেষ্টা করছি।
আগুনের সুত্রপাত নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক বলেন, গাড়ির সিলিন্ডার বিস্ফোরণ থেকে আগুনের সুত্রপাত। এখানে এখন বিদ্যুত নেই। আমরা জেনারেটর লাগাব। তারপর সার্চ করে দেখব ভেতরে কোনো মরদেহ আছে কিনা। আমাদের ধারণা মরদেহ থাকতে পারে।
এক প্রত্যক্ষ দর্শী জানান, আমি বাসায় ছিলাম, আগুন আগুন বলে চিৎকার শুনে আমার ছোট মেয়েকে কোলে নিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে যাই। এখানের অলিতে গলিতে বিভিন্ন ধরণের মালামাল ছিল। প্রায়সবই পুড়ে গেছে। #

0
0% (نفر 0)
 
نظر شما در مورد این مطلب ؟
 
امتیاز شما به این مطلب ؟
اشتراک گذاری در شبکه های اجتماعی:

latest article

এবার গরুর প্রতি নিষ্ঠুরতার দায়ে ...
ধৈর্য ও সহনশীলতা
শেইখ যাকযাকির মুক্তির দাবীতে ...
‘মার্কিন অস্ত্র দিয়ে হত্যা করা ...
দৃষ্টিহীনদের জন্য স্মার্ট ...
সর্বোচ্চ নেতার সঙ্গে বাশার ...
হোসাইনি দালানে আয়াতুল্লাহ ...
তিউনিশিয়ার আন্তর্জাতিক ...
রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের ...
জাপানী ভাষায় অনুদিত হল পবিত্র ...

 
user comment