বাঙ্গালী
Thursday 18th of April 2024
0
نفر 0

অপহৃত শিয়া ব্যক্তিত্ব উদ্ধারে সরকারের অবহেলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ (ছবি)

পাকিস্তানের মাজলিস-এ ওয়াহদাত-এ মুসলিমীনের রাজনীতি বিষয়ক সম্পাদক ‘নাসের শিরাজি’র অপহরণের বিষয়ে পাঞ্জাব সরকারের গড়িমসির প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে করাচির ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। এ সময় তারা নাসের শিরাজিসহ অপহৃত অপর শিয়াদের মুক্তির দাবী জানায়।

হলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলে হাজার হাজার পাকিস্তানি মুসলিম এদেশের মাজলিস-এ ওয়াহদাত-এ মুসলিমীন (এম ডব্লিউ এম)-এর রাজনীতি বিষয়ক সম্পাদকের অপহরণের ইস্যুতে সরকারের রহস্যজনক নিরবতার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে।

দেশের পাঞ্জাব, সিন্দ, বেলুচিস্তান ও খয়বর পাখতুনখোয়া রাজ্যের হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে নাসের আব্বাস শিরাজির অপহরণের ঘটনায় সরকারের রহস্যজনক নিরবতার প্রতিবাদ জানিয়েছে।

সিন্দ রাজ্যের রাজধানী করাচির বিক্ষুব্ধ জনতা অনতি বিলম্বে তার মুক্তি এবং অপহৃত অপর শিয়াদের বিষয়ে তদন্তের দাবী জানিয়েছে।

এদিকে, শিয়াদের অধিকার প্রদান এবং তাদের অপহরণের বিষয়ে মানবাধিকার বিভিন্ন সংস্থা সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছে।

পাকিস্তানের শিয়া মুসলিমদেরকে বিনা কারণে অমানবিকভাবে অপহরণের প্রতিবাদ জানিয়ে শিয়া আলেমরা তাদের বক্তব্যে বলেছেন: আমরাই পাকিস্তান নামক দেশটি গড়তে আত্মত্যাগ করেছিলাম, এখন আমরাই আবার দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করবো।

তারা বলেন: পাঞ্জাব রাজ্যের আইনমন্ত্রী রানা সানাউল্লাহ, সন্ত্রাসীদেরকে যারা সাহায্য করেন সে তালিকার শীর্ষে রয়েছেন। আর তাই পাঞ্জাব প্রদেশ থেকে –যার আইনমন্ত্রী সে নিজেই- নাসের শিরাজির মত ব্যক্তিত্বের অপহৃত হওয়া অসম্ভব কিছু নয়।

করাচি শহরের জুমআর খতিব আল্লামা মির্জা ইউসুফ হাসান তার বক্তব্যে বলেন: বেলুচিস্তান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এবং রানা সানাউল্লাহর মত ব্যক্তিত্ব দেশের জন্য হুমকি স্বরূপ।

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের ইসলামিক সংগঠন মাজলিসে-এ ওয়াদাত-এ মুসলিমীনের রাজনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্বাস নাসের শিরাজিকে ১০ দিন আগে লাহোর শহর থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা অপহরণ করে নিয়ে যায়। ঐ সময় অপহরণকারীদেরকে ফোনে শাহবাজ শরিফ এবং রানা সানাউল্লাহর সাথে যোগাযোগ করতে দেখেছেন বলে জানিয়েছেন নাসের শিরাজির স্ত্রী।

এছাড়া আরও বেশ কয়েকজন আহলে বাইত (আ.) এর ভক্তের অপরহরণের ১৮ মাস পেরিয়ে গেলেও তাদের বিষয়ে কোন সংবাদ এখনো পাওয়া যায়নি। তাদের বিষয়ে কোন প্রশ্নের জবাব দিতেও নারাজ পাকিস্তান সরকার।

এদেশে আহলে বাইত (আ.) এর অনুসারীরা চাই তারা শিয়া হোক বা সুন্নি প্রতিনিয়ত সন্ত্রাসীদের পক্ষ থেকে হুমকির সম্মুখীন। বিভিন্ন সময় সন্ত্রাসীরা তাদেরকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়ে তাদেরকে হত্যা করে। তাদের অপরাধ হচ্ছে তারা মহানবি (স.) এর আহলে বাইত (আ.) এর অনুসারী এবং আহলে বাইত (আ.) কে ভালবাসে। এ ক্ষেত্রে শিয়া ও সুন্নি উভয়েই এ সকল তাকফিরি সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হয়ে থাকে।#

0
0% (نفر 0)
 
نظر شما در مورد این مطلب ؟
 
امتیاز شما به این مطلب ؟
اشتراک گذاری در شبکه های اجتماعی:

latest article

ইরান-পাকিস্তান গ্যাস পাইপ লাইন ...
শিয়া মাযহাব গ্রহণ করলেন ...
২০১৯ সালের প্রথম শহীদ (ছবি)
আলেম হত্যার প্রতিবাদে ক্ষুব্ধ ...
ক্যামেরুনে আত্মঘাতী বোমায় নিহত ...
সৃষ্টি জগত নিয়ে চিন্তা করতে গিয়ে ...
মুফতি হান্নানসহ ৩ জঙ্গির ফাঁসি ...
ইরাকে লড়ছে হিজবুল্লাহ যোদ্ধারা: ...
খুতবায় নজরদারীর সিদ্ধান্ত, ...
भारत को दाइश की धमकी, धमकी का क्या ...

 
user comment