বাঙ্গালী
Friday 29th of March 2024
0
نفر 0

যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ!

ড. এম মুজিবুর রহমান : আজও আমরা বন্দী অল্প মন্দ-বেশি মন্দের দুষ্টচক্রে তপ্ত কড়াই থেকে জ্বলন্ত উনুনে, আবার ফিরে গিয়ে তপ্ত কড়াইয়ে। মুখোশ খুলে যায়, আবার নতুন মুখোশ আসে নতুন মুখোশে রুচি মরে গেলে আবার পুরনো মুখোশে নস্টালজিক ফিরে আসে।
যায় দিন ভালো, আসে দিন খারাপ!

ড. এম মুজিবুর রহমান : আজও আমরা বন্দী অল্প মন্দ-বেশি মন্দের দুষ্টচক্রে তপ্ত কড়াই থেকে জ্বলন্ত উনুনে, আবার ফিরে গিয়ে তপ্ত কড়াইয়ে। 
মুখোশ খুলে যায়, আবার নতুন মুখোশ আসে নতুন মুখোশে রুচি মরে গেলে আবার পুরনো মুখোশে নস্টালজিক ফিরে আসে।
স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে রাজনীতি আজ এক চক্রে সমাবর্তিত হচ্ছে। গণতন্ত্র আর ভোটের অধিকার সেই অধরাই রয়ে গেলো। মহান মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীন দেশে এক দলীয় বাকশাল, তারপর নানা ঘটনার পরিক্রমায় বহুদলীয় গণতন্ত্র পূনপ্রবর্তন। আবার স্বৈরাচারের কালো থাবা, অবশেষে নব্বইয়ে এসে গণতন্ত্রের ভীত খানিকটা স্থিতি পাবার আগেই চলে আসে বিরাজনীতিকরণের এক নতুন খেলা। সকল দলের প্রচেষ্ঠায় সে প্রক্রিয়াকে ঠেকানো গেলেও এর পরে যে আরো ভয়ানক পরিণতি অপেক্ষা করছে তা কি কেউ আগে জানতো বা কল্পনা করতে পারছিলো ! খেলারাম খেলেই যাচ্ছে ! আমাদের কয়জন বুঝছেন সন্দেহ, আর যারা বুঝতে পারছেন ওনারাতো এখন দেয়া-নেয়ার হিসেবে টিমের সদস্য হয়ে বসে আছেন। তবে এই ওয়ান ওয়ে রাস্তা থেকে ওনারাও বের হতে পারবেন বলে মনে হয় না। আর বাদ বাকিরা স্রোতের প্রতিকূলে জনগণের মধ্যে কতটুকু সচেতনতাই বা তৈরী করতে পারছেন? যার ফলশ্রুতিতে ভোটারদের বাদ দিয়ে নির্বাচন, আর সরকার পক্ষ ও গৃহপালিত বিরোধী পক্ষ একাকার হয়ে চলছে দেশ শাসনের আজব এক অনুশাসন !
৫ জানুয়ারির পর থেকে নির্বাচন আসে, নির্বাচন যায়। তবে ভোটারদের কষ্ট করে আজকাল আর ভোট কেন্দ্রে যেতে হয় না। সত্যিকারের বিরোধী পক্ষকে আগেই ঘরছাড়া করে রাখা হয়। এর পরেও কেউ নির্বাচিত হয়ে আসলে তাকে বরং জেলের গ্লানিতে পড়তে হয়। তাই আর নির্বাচন না করে শুধু গেজেট প্রকাশ করলেই চলবে বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকে !
রাজনীতির পচন স্বাধীনতার পর থেকেই শুরু কিন্তু সমাজের পচনটা বোধ হয় তারও কিছুদিন পরে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে স্বগৌরবে টিকিয়ে রাখতে যে আশার জায়গাটা বাকি ছিল আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, গত কয়েক বছরে তাদেরকেও রাজনৈতিক অঙ্গ প্রতিষ্ঠান বানানো হয়ে গেছে। আর ওনারা দেশ রক্ষা নয়, এখন ঠিকাদারি নিয়েই বেজায় খুশি। সেই সাথে সুশীলদের অনেকেই বনে গেছেন দলকানা এবং অন্যের বাজারের মদদ দাতা। প্রগতির দোহাই দিয়ে নিজের রাষ্ট্র, ধর্ম, স্বকীয়তাকে পেছনে ফেলে উদার হস্তে দিতে গিয়ে দাতা হাতেমতাই কেও হার মানিয়ে ফেলছি। ফলে আমজনতাও সমাজ থেকে তাদের মানবিক সংবেদনশীলতাকে ঝেটিয়ে বিদায় করে দিচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। তবে মনে রাখা দরকার, প্রকৃতিতে কোনো কিছুই শূন্য থাকে না। এর পরিণতিতে পতিত মরুভূমিতে গজায় কাঁটাওয়ালা ক্যাকটাস। যার খেসারত দিতে হয় পুরো জাতিকে।
তাই অনেকেই অসহায়ের মত অল্প মন্দ-বেশি মন্দের হিসেব কষেন। রাজনীতির পথ পরিক্রমা হয়ে গেছে তপ্ত কড়াই থেকে জ্বলন্ত উনুনে ঝাঁপ, অথবা জ্বলন্ত উনুন থেকে তপ্ত করাইয়ে ফিরে যাওয়ার মত। তাই তো অনেককে আজ আফসোস করতে শুনি, বর্তমান একনায়কতান্ত্রিক জবরদখলমূলক সরকার কর্তৃক গরিব দেশের মানুষের টাকা অপচয় করে নির্বাচনের নামে তামাশা করার চেয়ে নির্বাচনবিহীন বাকশালী সিস্টেম ছিল আরো ভালো!
গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনতে ৭১’এ মহান মুক্তিযুদ্ধে অগণিত শহীদের রক্তে কেনা স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে, কার ইশারায় চলছে রঙ্গ খেলা ?
অনেকেরই মনে আজ প্রশ্ন জাগছে, তাহলে কি আশ্রিত দেশের দিকে ধাবিত হচ্ছি ক্রমাগত! না কি দেশপ্রেমীরা বিজয়ী হবে?
ইংরেজি নব বর্ষের শুরু হোক মানবিক মূল্যবোধ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বলিয়ান হয়ে নিজের ধর্ম, সংস্কৃতি ও দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার দৃপ্ত অঙ্গীকার। আর সকলের মানবিক সংবেদনশীলতাকে করুক জাগ্রত। লেখক: (সাবেক সহকারী অধ্যাপক, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সিলেট)



source : abna24
0
0% (نفر 0)
 
نظر شما در مورد این مطلب ؟
 
امتیاز شما به این مطلب ؟
اشتراک گذاری در شبکه های اجتماعی:

latest article

হযরত আলীর (আ.) প্রতি বিশ্বনবী (সা.)এর ...
মুসলিম-দর্শনে অনাদিত্ব বিষয়ক ...
লম্বা স্কার্ট পরায় স্কুল ছাত্রী ...
যদি আল-মাজেদ জীবিত থাকতেন...
রোহিঙ্গা ফেরত নেয়া নিয়ে ইরানি ...
সূরা হুদ;(১৭তম পর্ব)
আয়াতুল্লাহ জাকজাকি বেঁচে আছেন ...
সালাতে তারাবী না তাহাজ্জুদ ?
ইরানের কয়লা খনিতে বিস্ফোরণ: ৩৫ ...
মুসলিম সমাজে স্বামী-স্ত্রীর ...

 
user comment