বাঙ্গালী
Tuesday 19th of March 2024
0
نفر 0

সিরিয় বিদ্রোহীদের অস্ত্রের যোগানাদাতা সৌদি আরব

গতকাল প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, সিরিয়ায় যুদ্ধরত সরকার বিরোধীদের নিকট ভারী ও হাল্কা অস্ত্র প্রেরণ করেছে সৌদি আরব।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা আবনার রিপোর্ট : গত সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, সিরিয়ায় যুদ্ধরত সরকার বিরোধীদের নিকট ভারী ও হাল্কা অস্ত্র প্রেরণ করেছে সৌদি আরব। বৃহত একটি অস্ত্রের চালান ইতিমধ্যে জর্ডান হয়ে সিরিয়ায় পৌঁছেছে।

দৈনিক নিউইয়র্ক টাইম্‌স অজ্ঞাত মার্কিন ও পশ্চিমা কর্মকর্তার মন্তব্যের ভিত্তিতে গতকাল সোমবার (২৫শে ফেব্রুয়ারী) একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। ঐ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, অস্ত্রের বৃহত এ চালানটি গত বছরের ডিসেম্বর মাসে জাহাজে করে জর্ডান হয়ে সিরিয়ার সরকার বিরোধীদের হাতে পৌঁছেছে।

মার্কিন এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে দৈনিকটি লিখেছে, অস্ত্রের এ চালানটি সিরিয়ার সরকার বিরোধীদের লজিস্টিক্যাল কভারেজের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।

এ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলের আরব দেশসমূহ এক বছরেরও অধিক সময় ধরে সিরিয়ায় যুদ্ধরত সরকার বিরোধীদের অস্ত্রের যোগান দিচ্ছে। এছাড়া অন্যান্য দিক থেকে সরকার বিরোধীদেরকে সহযোগিতা করছে। কিন্তু সম্প্রতি জাহাজের মাধ্যমে প্রেরিত অস্ত্রের চালানটি পূর্বে প্রেরিত যে কোন চালানের চেয়ে বৃহত।

এছাড়া কিছু কিছু কর্মকর্তা দৈনিক টাইমসকে জানিয়েছেন যে, গত ডিসেম্বর মাসে বেশ কয়েকটি অস্ত্রভর্তি বিমান যুগোস্লাভিয়া ত্যাগ করেছে। এ সকল অস্ত্রের অধিকাংশই যুগোস্লাভিয়ার তৈরী। ইতিপূর্বে এ ধরণের অস্ত্র সিরিয়ায় যুদ্ধরত সরকার বিরোধীদের হাতে দেখা না গেলেও গত ডিসেম্বর মাসে সরকার বিরোধীদের কর্তৃক গৃহীত ও ইউটিউবে প্রকাশিত ভিডিওতে তা দেখা গেছে।

এ সকল ভারী অস্ত্রের মধ্যে বিশেষ মডেলের মেশিনগান, রকেট লাঞ্চার, রাইফেল, গ্রেনেড, ট্যাংক বিধ্বংসী রকেট এবং বুলেট প্রুফ গাড়ীও রয়েছে।

ওয়াশিংটনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে, ক্রোয়েশিয়ান এক কর্মকর্তা গতবছর গ্রীস্মে তার ওয়াশিংটন সফরে ওয়াশিংটনের কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাত করে এ প্রস্তাব রেখেছিল যে, তাদের নিকট বিপুল পরিমাণে অস্ত্র রয়েছে এবং তারা এমন কারো সন্ধানে রয়েছে যে এ অস্ত্রগুলো সিরিয়ায় তত্পর সশস্ত্র দলগুলোর হাতে পৌঁছে দিতে পারে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে : সাংবাদিকরা এ ফলাফলে পৌঁছেছেন যে, ইউক্রেনে নির্মিত ও সৌদি আরব কর্তৃক ক্রয়কৃত মেশিনগানের গুলি এবং সুইজাল্যান্ডে তৈরী ও সংযুক্ত আরব আমিরাত কর্তৃক ক্রয়কৃত গ্রেনেড উভয়ই সিরিয়ার সশস্ত্র বিদ্রোহীদের হাতে পৌঁছেছে।

ক্রোয়েশিয়ান দৈনিক ‘জিউটারাঞ্জী লিস্ট’-এ গত শনিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ‘বিগত মাসগুলোতে ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী ‘জাগরেবে’র পোলিসো বিমানবন্দরে অস্বাভাবিক কিছু সংখ্যক জর্ডানীয় কার্গো বিমান দেখা গেছে।

সিরিয়ার উদ্দেশ্যে ক্রোয়েশিয়া হতে অস্ত্র প্রেরণের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ষড়যন্ত্রের কথা প্রকাশ করে দৈনিকটি জানিয়েছে যে, জর্ডানের আকাশ পথে মালামাল বহন বিষয়ক আন্তর্জাতিক কোম্পানী’র সাথে সম্পৃক্ত Il-76 মডেলের একটি বিমান গত ১৪ ও ২৩শে ডিসেম্বর (২০১২) এবং ৬ ও ১৮ই জানুয়ারী (২০১৩) জাগরেবে’র পোলিসো বিমানবন্দরে দেখা গেছে।

এদিকে গত রবিবার যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সিরিয়ার সশস্ত্র বিদ্রোহীদের প্রতি সহযোগিতা বৃদ্ধি করার বিষয়ে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হিগ এবং মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরী লন্ডনে অনুষ্ঠিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে গত সোমবার বলেছেন : ‘সিরিয়ার সরকার বিরোধীদের প্রতি সহযোগিতার পরিমাণ আরো বাড়িয়ে দিতে হবে। এ কাজের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। কেরীও এ মন্তব্যের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেন।

তুরস্ক, সৌদি আরব ও কাতারের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা বিশ্বে তার দোসররা দাবী করছে যে, তারা সিরিয়ায় সংকটের নিরসন চায়। কিন্তু একই সময় তারা সিরিয়ার সশস্ত্র বিদ্রোহীদের উদ্দেশ্যে অস্ত্র ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করছে।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময় হতে সিরিয়ায় বিশৃংখলা ও সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। এ পর্যন্ত বিভিন্ন সংঘর্ষ ও হিংস্র সহিংসতায় সামরিক বাহিনী’র উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সৈন্যসহ বিপুল সংখ্যক বেসামরিক লোক প্রাণ হারিয়েছে। মানবাধিকার বিষয়ক কিছু কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থাও এ কথা জানিয়েছে যে, সিরিয় বিদ্রোহীরা বিদেশীদের সহযোগিতায় যুদ্ধ অপরাধে লিপ্ত হচ্ছে।

সিরিয়া সরকারের ভাষ্য হচ্ছে যে, দেশে সৃষ্ট বিশৃংখলা ও গোলোযোগ কিছু কিছু দেশের ষড়যন্ত্রে সৃষ্টি হয়েছে এবং এমন কিছু প্রতিবেদন তাদের হাতে রয়েছে যেগুলো হতে প্রমাণিত হয় যে, সিরিয়ার সরকারী বাহিনী’র বিরুদ্ধে যুদ্ধরত বিদ্রোহীদের অনেকেই অন্যান্য দেশের নাগরিক।#

0
0% (نفر 0)
 
نظر شما در مورد این مطلب ؟
 
امتیاز شما به این مطلب ؟
اشتراک گذاری در شبکه های اجتماعی:

latest article

যুগে যুগে কোরবানি
সূরা আত তাওবা;(৪র্থ পর্ব)
ইসলামের পবিত্র চারটি মাস ও আমাদের ...
নবী ও রাসূলের প্রয়োজনীয়তা
ইসলামি ইতিহাসে গাদীর
ভুলে যাওয়া ইতিহাস : ঘটনা প্রবাহ ...
বেহেস্তি নেত্রি: ফাতিমা যাহরা সা.আ
ইহুদী রাষ্ট্র ইসরাঈলের জন্ম ...
শিয়া মুসলমানরা কি দৈনিক তিন ...
মুসলিম বিশ্ব

 
user comment