বাঙ্গালী
Thursday 25th of April 2024
0
نفر 0

রাখাইনে পাঁচ গণকবর

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে অনেক রোহিঙ্গাকে হত্যা করে পাঁচটি স্থানে গণকবর দেওয়া হয়েছে। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের সময় এসব হত্যাকাণ্ড ও গণকবর দেওয়ার ঘটনা ঘটে। বার্তা সংস্থা এপির নিজস্ব অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

আবনা ডেস্কঃ এপির অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে তথ্য। সঙ্গে দেওয়া হয়েছে ভিডিও চিত্র ঘটনাস্থল রাখাইনের গু দার পাইন গ্রাম
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে অনেক রোহিঙ্গাকে হত্যা করে পাঁচটি স্থানে গণকবর দেওয়া হয়েছে। দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের সময় এসব হত্যাকাণ্ড ও গণকবর দেওয়ার ঘটনা ঘটে। বার্তা সংস্থা এপির নিজস্ব অনুসন্ধানে এসব তথ্য উঠে এসেছে। অনুসন্ধান-সংশ্লিষ্ট একটি প্রতিবেদন গতকাল বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছে বার্তা সংস্থাটি।
মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানের সময় বেঁচে যাওয়া ২৪ ব্যক্তি এবং ভুক্তভোগীর স্বজনদের বক্তব্য নিয়ে এপির ওই অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। মুঠোফোনে ধারণ করা অভিযানের বিভিন্ন সময়ের ছবিও এতে সংযুক্ত করা হয়েছে। ওই সময় মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে অন্তত ৪০০ রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত বছরের আগস্টে রাখাইনে তল্লাশিচৌকিতে হামলাকে কেন্দ্র করে রাজ্যটিতে অভিযান শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী ও পুলিশ। এই অভিযান শুরুর পর প্রাণ বাঁচাতে সাড়ে ৬ লাখের বেশি রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়। তাদের প্রায় সবার অভিযোগ, মিয়ানমারের বাহিনী রাখাইনে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটতরাজ ও অগ্নিসংযোগ করেছে। তবে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ভাষ্য, তারা ‘সন্ত্রাসের’ বিরুদ্ধে লড়ছে।
এপির প্রতিবেদনে একটি গণহত্যার বর্ণনায় জানানো হয়, গু দার পাইন গ্রামে একদিন একদল লোক খেলার জন্য দল বাছাই করছিল। স্থানীয়ভাবে ‘চিনলোন’ নামে পরিচিত এই খেলা অনেকটা ফুটবল খেলার মতো। দল বাছাইয়ের সময় মিয়ানমারের সেনারা সেখানে নির্বিচার গুলি চালায়। এ ঘটনায় বেঁচে যান নুর কাদির নামের এক রোহিঙ্গা। ছয় দিন পর তিনি তাঁর নিহত বন্ধুদের খুঁজে পান দুটি আলাদা গণকবরে। নিহত ব্যক্তিদের দেখে চেনার উপায় ছিল না বলে জানিয়েছেন তিনি। পরনের কাপড় দেখে তিনি তাঁর বন্ধুদের শনাক্ত করতে পেরেছিলেন।
ধারণা করা হয়, এই গণহত্যা সংঘটিত হয়েছিল গত বছরের ২৭ আগস্ট। ওই গণহত্যা থেকে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা এপিকে বলেছেন, মিয়ানমারের সেনারা এই গণহত্যা ধামাচাপা দিতে সব প্রমাণই নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। মরদেহ নিশ্চিহ্ন করতে সেনারা অ্যাসিড ব্যবহারের চেষ্টাও করেছিল বলে এপির প্রকাশিত ভিডিও চিত্র থেকে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। ভারী বৃষ্টির কারণে মাটি ধুয়ে যাওয়ায় ওই গণকবরে থাকা নিহত ব্যক্তিদের দেহাবশেষ দেখা যায়। বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরা এ সময় মুঠোফোনে এসব দেহাবশেষের দৃশ্য ধারণ করতে পেরেছিলেন।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ফিল রবার্টসন বলেছেন, মিয়ানমারের কাছে জবাবদিহিতা দাবির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অবস্থান আরও জোরালো করেছে এপির এই প্রতিবেদন। গু দার পাইনের গণহত্যা এবং মরদেহ নিশ্চিহ্ন করতে সেনাদের যে চেষ্টা থেকে বোঝা যায়, এই গণহত্যাগুলো ছিল পূর্বপরিকল্পিত। তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের জন্য রাখাইনে গণহত্যার মতো অপরাধের সঙ্গে জড়িত মিয়ানমারের সেনা কর্মকর্তা ও সেনাদের চিহ্নিত এবং তাঁদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের এখনই সময়।
এর আগে রাখাইনের ইন দিন গ্রামে একটি গণকবর থেকে ১০ মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার দায়িত্ব স্বীকার করেছিল মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।

0
0% (نفر 0)
 
نظر شما در مورد این مطلب ؟
 
امتیاز شما به این مطلب ؟
اشتراک گذاری در شبکه های اجتماعی:

latest article

বন্দুকযুদ্ধে’ জঙ্গিনেতা মারজান ...
১০ আফগান তালেবানকে গলা কেটে হত্যা ...
বায়তুল মুকাদ্দাস ইস্যুতে ...
শিকাগোতে গুলিতে নিহত ৭
নিউইয়র্কে বাংলাদেশি নারীর ...
ক্যালিফোর্নিয়ায় বাংলাদেশি খুন
মিয়ানমারে ৪ লাখ মানুষের ত্রাণ ...
বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী, স্পিকারকে ...
‘লাদেন নিহত হন নি, ২০০১ সালে তার ...
সৌদি আরবে হামলার ঘটনায় ১২ ...

 
user comment