বাঙ্গালী
Saturday 20th of April 2024
0
نفر 0

উলিল আমর

উলিল আমর

“হে ঈমানদারগণ! আল্লাহর আনুগত্য কর, রাসূ„লের আনুগত্য কর এবং উলিল আম„রের”.....। (সূরা-নিসা, আয়াত-৫৯) । উক্ত আয়া„তের ব্যাখ্যায় মুফাস্সিরগণ ভিন্ন ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন। কেউ “উলিল আমর”-ƒকে রাষ্ট্রনায়ক, কেউ আবার বিচারক হিসা„বে মত প্রকাশ করেছেন, (তাফসীরে মা„রেফুল কোরআন); মূলতঃ এ„তে আহলে বাইতের মাসুম ইমামদের কথা বলা হয়েছে। কেননা আল্লাহ্ যেখা„নে নিজের সঙ্গে রাসূল (সাঃ)-এর আনুগত্যের হুকুম দিচ্ছেন; সেখানে উলিল আম„রের আনুগত্যও সকল বান্দা„দের উপর ওয়াজিব ঘোষণা করেছেন। এখা„ন উলিল আমরকে আল্লাহ্ ও রাসূ„লের প্রতিনিধি ঘোষণা করেছেন। তাঁ„কে অবশ্যই মাসুম (নিষ্পাপ) হতে হবে। আল্লাহ কখনো ভ্রান্তিযুক্ত মানুষ„কে তার প্রতিনিধি নিযুক্ত করেন না, এটা সাধারণ বিবেকবান ব্যক্তিও বুঝতে পারে। আহলে বাইত (আঃ)-এর বারো ইমাম ব্যতিত, অন্য কারো সম্প„র্কে কেউ এই দাবী করতে পা„রে না; যে, তারাও ভ্রান্তি মুক্ত ছিলেন, এছাড়া আল্লাহর এই নির্দেশ কোন কাল, সময় বা কোন ব্যক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটা সব সময়ের জন্য, এমনকি কেয়ামত পর্যন্ত এই নির্দেশ চলতে থাকবে। এখন দেখতে হবে, যারা ভ্রান্তিযুক্ত রাষ্ট্রনায়ক, কিংবা বিচারক„কে আনুগত্য করার মত প্রকাশ করেছেন, তারা মুসলমানদের„কে মহা বিপ„দে ফেলে দিয়েছেন, কারণ দুনিয়া„তে অনেক দেশ আছে, যেখানে খ্রিস্টান, ইহুদী, কাফের বা মুশরিক রাষ্ট্রনায়ক কিংবা বিচারক রয়েছেন, আর যদি মুসলমানও থেকে থাকেন, তাও ৭৩ দ„লে বিভক্ত হয়ে ব„সে আছেন। মহানবী (সাঃ) বলেছেন, আমার উম্ম„তেরা আমার পর ৭৩ দ„লে বিভক্ত হ„য়ে পড়„বে, এদের মধ্যে ১টি দল পরকা„লে মুক্তি পা„বে, আর বাকি দলগু„লো পথভ্রষ্ট বা তারা জাহান্নামী হবে। সূত্রঃ- মুসতাদরাকে হাকেম, খঃ-৩ পৃঃ-১০৯। মহানবী (সাঃ) এটাও বলে গেছেন “আমার উম্মতের ১টি দল (মাযেহাব) সর্বদাই হকের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে।” সূত্রঃ-সহীহ্ মুসলিম, খঃ-৫, হাঃ-৪৭৯৭, (ই,ফাঃ)।

মহানবী (সাঃ) বলে গেছেন একদল ছাড়া সক„লে জাহান্নামে যা„বে। আবার দেখা যায় কোথাও ‘সুন্নী’ (হানাফি, মা„লকি, শাফাঈ, হাম্বালী) রাষ্ট্রনায়ক কিংবা বিচারক, আবার কোথাও ‘ইসনা আশারীয়া শিয়া’ (মহানবী (সাঃ) ও তার আহলে বাইত (আঃ)-এর বা„রো ইমাম-এর অনুসারিগণ) রাষ্ট্রনায়ক বা বিচারক, কোথাও আবার (মুয়াবিয়া ও এজিদ-এর কোরআন পরিপন্থি রাজতন্ত্রী আইন, রাজা-বাদশাদের আইন), ‘ওহাবী-সালাফী’ রাষ্ট্রনায়ক বা বিচারক রয়েছেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো? মুসলমানরা কাকে ছ„ড় কাকে আনুগত্য কর„বে। আর যদি বলা হয়, সকল„কেই আনুগত্য করতে হবে! তাও সম্ভব নয়। তাহ„লে সহ„জে বুঝা যায়, নিশ্চয়ই এই দুনিয়ার রাষ্ট্রনায়ক বা বিচারক বা„দে অন্য কাউকে আনুগত্য করতে বলা হয়েছে এবং তাকে অবশ্যই সব সময় উপস্থীত থাক„তে হবে, তা না হ„লে আল্লাহর এই নির্দেশ অকার্যকর থেকে যা„বে। কোরআনে আল্লাহ পাক ব„লেন, “স্মরণ কর, সেদিনের (কিয়াম„তের) কথা যেখন আমি সকল মানুষ„কে তাদের ইমামসহ (ƒনেতাসহ) আহবান করব”....। (সূরা-বনী ইসরাঈল, আয়াত-৭১); “আপনি „তো কেবল সতর্ককারী মাত্র, আর প্রত্যেক কও„মের জন্য আছে পথ প্রদর্শক”। (সূরা রা’দ, আয়াত-৭) মহানবী (সাঃ) এরশাদ করেছেন, “যে ব্যক্তি সম„য়ের ইমাম„কে না চি„নে বা না জেনে মারা যায় সে জা„হলীয়া„তে মারা যায়”। সূত্রঃ- সহীহ্ মুসলিম, খঃ-৩, হাঃ- ১৮৫১ (ƒলেবানন); মুসনা„দে হাম্বাল, খঃ-৪, পৃঃ-৯৬; কানজুল উম্মাল, খঃ-১, পৃঃ-১০৩; তাফসি„র ইব„নে কাসির, খঃ -১, পৃঃ-৫১৭ (মিশর); সহীহ্ মুসলিম (সকল খণ্ড এক„ত্রে) পৃঃ-৭৫২, হাঃ-৪৬৪১; (তাজ কোং) ।

সুতরাং কেউই একমত হবেন না যে, “দুনিয়ার কোন রাষ্ট্রনায়ক বা বিচারক„কে না চি„নে বা না জেনে মারা গে„লে সে জা„হলীয়া„তে মারা যায়”। সূত্রঃ- কোরআন মাজীদ-হা„ফেজ মাওলানা …সৈয়দ ফারমান আলী, পৃঃ-১৩৮-১৩৯, (উর্দ্দু); শেইখ সুলাইমান কান্দুযী-ইয়ানাবিউল মুয়াদ্দাত, পৃঃ-১৮৯, (উর্দ্দু); বেলায়াত সম্পর্কিত আয়াতসমূহের তাফসীর, পৃঃ-৮৭-১০৫, (বাংলা) আয়াতুল্লাহ মাকা„রেম শিরাজি; কেফাইয়াতুল মোওয়াহহেদীন, খঃ-২, পৃঃ-১৪১; মাজমাউল বয়ান, খঃ-৩, পৃঃ-৬৪; রাওয়া„ন জা„ভদ, খঃ-২, পৃঃ-৭১; বায়ানুস সায়াদাহ্, খঃ-২, পৃঃ ২৯; তাফসী„র কুম্মী, খঃ-১, পৃঃ-১৪১; শাওয়া„হেদুত তানযিল, খঃ-১, পৃঃ-১৪৮; তাফসী„রে ফুরাত, পৃঃ-২৮; তাফসী„রে জাফর, খঃ-১, পৃঃ-৩০৭-৩০৮; তাফসী„রে শাফী, খঃ-২, পৃঃ-৩০৯-৩১৩; আল কাফী, খঃ-১, পৃঃ-২৭৬; তাফসী„রে আইয়াশী, খঃ-১, পৃঃ-২৪৭; The Holy Quran, Commentary-  Tafsir By-Ayalullah Agha Mehdi Pooya & S.V. Mir Ahmed Ali. Page-378-379 |

হযরত ইমাম জাফর সাদেক (আঃ)-ƒকে জিজ্ঞাসা করা হ„য়েছিল যে, “উলিল আম„রের” আ„দেশ মান্য করা কি অবশ্যই কর্তব্য? তিনি বল„লন: হ্যাঁ, তাঁরা ঐসব ব্যক্তি যাদের আ„দেশ পালন করা এই আয়া„ত ( সূরা-নিসা, আয়াত-৫৯) ওয়াজিব করা হয়েছে, আর এই আয়াত আহলে বাইতগণের শা„নে নাযিল হয়েছে। সূত্রঃ- কওকা„বে দুরির ফি ফাযা„য়েলে আলী, পৃঃ ১৬৫; …সৈয়দ মেঃ সা„লে কাশাফী, সুন্নী হানাফী, আ„রেফ বিল্লাহ) ইয়ানাবিউল মাওয়াদ্দাহ্, পৃঃ-২১; তাফসী„রে কাবীর- খঃ-৩, পৃঃ-৩৫৭; কেফাইয়াতুল মোওয়াহহেদীন, খঃ-২, পৃঃ-১৪১; মাজমাউল বয়ান, খঃ-৩, পৃঃ-৬৪; রাওয়া„ন জা„ভেদ, খঃ-২, পৃঃ-৭১; বায়ানুস সায়াদাহ্, খঃ-২, পৃঃ ২৯; তাফসী„র কুম্মী, খঃ-১, পৃঃ-১৪১; শাওয়া„হেদুত তানযিল, খঃ-১, পৃঃ-১৪৮; তাফসী„র ফুরাত, পৃঃ-২৮।

যেহেতু দ্বীন ইসলাম কিয়ামত অবধি স্থায়ী থাক„বে এবং রাসূল (সাঃ)-এর পর আর কোন নবীর আগমন হবে না। এই জন্য রাসূল (সাঃ) নিজ দায়িত্ব হতে অব্যাহতি পেতে আল্লাহর নির্দেশে, বা„রোজন স্থলাভিসিক্ত (ইমামদের„ক) ম„নোনিত করে, তাঁদের নাম উল্লেখ করে যান। নবী (সাঃ) এরশাদ করেন, “আমার পর দ্বীন ইসলাম„কে রক্ষা করতে কুরাইশ-বনি হা„শেম হতে বা„রোজন খলিফা বা ইমাম হবে”। মহানবী (সাঃ) এক হাদী„সে বলেছেন যে, আমার পর “বা„রোজন” ইমাম (ƒনতা) হবেন, তাঁরা সবাই বনি হা„শেমগণের মধ্যে হতে হবেন। সূত্রঃ-ƒশেইখ সুলাইমান কান্দুযী-ইয়ানাবিউল মুয়াদ্দাত, পৃঃ-৪১৬ (উর্দ্দু)। (সহীহ্ বুখারী„তে) জাবির বিন সামরাহ থেকে বর্ণনা করেছেন যে, তিনি বলেছেন, আমি রাসূল (সাঃ)-এর কাছ থেকে শু„নছি যে, তিনি বলেছেন “বা„রোজন আমির (ƒনতা) (আমার প„র) আগমন কর„বে। অতঃপর একটি শব্দ উচ্চারণ কর„লেন আমি শুন„তে পাইনি। আমার পিতা ব„লেন তিনি [নবী (সাঃ)] বলেছেন তাঁরা সক„লে কুরাইশ বংশ থেকে হবেন”। সূত্রঃ- সহীহ্ আল বুখারী, খঃ-৬, হাঃ-৬৭১৬ (আধুনিক) । পাঠকদের যাচাই করার জন্য কিছু সূত্র উল্লেখ করলাম, যাতে নি„জরাই পরীক্ষা করতে পারেন। পরবর্তী„তে বিস্তারিত আ„লাচনা করছি। সূত্রঃ- সহীহ্ আল বুখারী, খঃ-৬, হাঃ-৬৭১৬ (আধুনিক); সহীহ্ আল বুখারী, খঃ-১০, হাঃ-৬৭২৯, (ই,ফাঃ); সহিহুল বুখারী, খঃ-৬, হাঃ- ৭২২২ (আহলে হাদীস লাই„ব্রেরী থেকে প্রকাশিত); সহীহ্ মুসলীম, খঃ-৫, হাঃ-৪৫৫৪, ৪৫৫৫, ৪৫৫৭, ৪৫৫৮ ও ৪৫৫৯ (ই,ফাঃ); সহীহ্ আবু দাউদ, খঃ-৫, হাঃ-৪২৩০-৪২৩১ (ইফাঃ); শেইখ সুলাইমান কান্দুযী-ইয়ানাবিউল মুয়াদ্দাত-পৃঃ-৪১৬ (উর্দ্দু)।

হযরত ইব„নে মাসউদ (রাঃ) (নবী করিম (সাঃ) -এর বিশিষ্ট সাহাবী) বর্ণনা করেন যে, আমি রাসূলে পাক (সাঃ)-ƒকে জি„জ্ঞেস করেছিলাম আপনার পরবর্তীকা„লে কতজন ইমাম হবেন, মহানবী (সাঃ) ব„লেন, “বনী ইসরাঈ„লের নবীদের ন্যায় বা„রোজন হবে ”। সূত্রঃ-আস-সাওয়ায়েকুল মুহরিকা,পৃঃ-১৩; মিশ„র মুদ্রিত, কওকা„বে দুরির ফি ফাযা„য়েলে আলী, পৃঃ-১৪৪; …সৈয়দ মোঃ সা„লে কাশাফী, সুন্নি হানাফী, আ„রেফ বিল্লাহ)।

আল্লামা কামাল উদ্দিন মোহাম্মদ ইব„নে তালহা শা„ফয়ী বর্ণনা করেন যে, “মহানবী (সাঃ) বলেছেন যে, সমস্ত আ„য়েম্মাগণ কুরাইশ হতে হবেন। কারণ কুরাইশদের ব্যতিত অন্য কউ নবী (সাঃ)-এর উত্তরাধিকারী বা ইমাম হতে পার„বে না”। সূত্রঃ- আল্লামা কামাল উদ্দিন মোহাম্মদ ইব„নে তালহা শা„ফয়ী, মাতালেবুস সাউল, পৃঃ-১৭।

আমা„দের আহলে সুন্নাতের প্রখ্যাত সুফি আরেফ বিল্লাহ আলেম, আল্লামা †সৈয়দ আলী হামদানী শাফায়ী সুন্নি বর্ণনা করেন যে, আব্দুল্লাহ ইব„নে আব্বাস বলেন, আমি রাসূল (সাঃ)-ƒকে বলতে শু„নেছি যে, “আমি, আলী, ফাতেমা, হাসান, ও হোসাইন এবং হোসাইন এর পরবর্তী নয়জন সন্তান। পাক পবিত্র ও মাসুম একই গ্র„ন্থে তিনি আরো বর্ণনা করেন যে, নবী (সাঃ) বলেছেন, আমি সকল নবীদের সরদার (সাইয়্যেদুল আম্বিয়া) এবং আলী সকল ওয়াসীর সরদার (সাইয়্যেদুল আওসিয়া) আর আমার পর “বা„রোজন” উত্তরসূরী হবে। তাদের মধ্যে প্রথম হচ্ছেন, হযরত আলী ইব„নে আবু তালেব ও শেষ হচ্ছেন, ইমাম মাহ্দী, (আখেরউজ্জামান)”। সূত্রঃ- মুয়াদ্দাতুল কারবা, পৃঃ-৯৮; শেইখ সুলাইমান কান্দুযী, ইয়ানাবিউল মুয়াদ্দাত, পৃঃ-৪১৬, (উর্দ্দু) ।

ইমাম জাফর সাদেক (আঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী করিম (সাঃ) বলেছেন, ইমাম আমার পর “বা„রোজন” হবে তাঁদের মধ্যে প্রথম আলী এবং শেষ কায়েম মহ্দী হবে, এবং তাঁরা আমার খলিফা, (ওয়াসি) উত্তরাধিকারী ও আমার আউলিয়া এবং আমার উম্ম„তের উপর আল্লাহর পক্ষ হতে হুজ্জাত (প্রমাণ) যারা তাদেরকে আনুগত্য ও বিশ্বাস করবে, তারা মমিন ও যারা তাদের আনুগত্য ও বিশ্বাস কর„বে না, তারা অবিশ্বাসী। সূত্রঃ-কওকা„বে দুরির ফি ফাযা„য়েলে আলী, পৃঃ-১৪৩; (…সৈয়দ মেঃ সা„লে কাশাফী, সুন্নি হানাফী, আরেফ বিল্লাহ) ।

ইমাম জয়নুল আবেদীন (আঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, “নবী করিম (সাঃ) ইমাম আলীকে বলেন, আমার আহলে বাইত হতে “বা„রোজন” লাক হবে যাঁদের আমার জ্ঞান গরিমা দান করা হবে, তাদের মধ্যে তুমি আলী হƒচ্ছা প্রথম, ও তাঁদের ১২তম কায়েম ইমাম মাহ্দী “আলাইহিস সালাম” যার দ্বারা আল্লাহ্’তায়ালা এই জমিনকে মাসরিক থেকে মাগরিব পর্যন্ত ইনসাফ কায়েম করবেন।” সূত্রঃ- কাওকাবে দুরির ফি ফাযা„য়েলে আলী, পৃঃ-১৪৩, …সৈয়দ মোঃ সালে কাশাফী, সুন্নি হানাফী, আরেফ বিল্লাহ।

আহলে সুন্নাতের প্রখ্যাত আলেম শেখ সুলাইমান কান্দুজী বলখী, স্বীয় প্রসিদ্ধ গ্রন্থ ইয়ানাবিউল মুয়াদ্দা„তে লিখেছেন, মহানবী (সাঃ) এক প্র„শ্নের উত্ত„র বলেন, “আমার স্থলাভিসিক্ত ইমাম বা„রোজন হবে। তাদের প্রথম ইমাম আলী ও সর্ব শেষ হবেন ইমাম মাহদী”। আবার উলিল আমরের সম্পর্কে জাবের ইব„নে আব্দুল্লাহ আনসারী (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, জুনদুব ইব„নে জুনাদা {আবু যার (রাঃ)}-এর প্রশ্নের জবা„বে বলেন যে, আপনার পর কাঁরা আপনার স্থলাভিসিক্ত হবে, তাদের নাম কি? মহানবী (সাঃ) ইমাম আলী হতে ইমাম মাহদী (আঃ) পর্যন্ত সক„লের নাম বর্ণনা করেন। তাদের মধ্যে ১. ইমাম আলী ২. (৯) ইমাম হাসান, ৩. ইমাম হোসাইন, ৪. ইমাম জয়নুল আবেদীন, ৫. ইমাম মুহাম্মদ বা„কর, ৬. ইমাম জাফর সাদেক, ৭. ইমাম মুসা কাজিম, ৮. ইমাম আলী রজা, ৯. ইমাম মুহাম্মদ তাকী, ১০. ইমাম আলী নাকী, ১১. ইমাম হাসান আসকারী এবং তাদের মধ্যে ১২. (বা„রোতম) ইমাম মাহ্দী (আলাইহিমুস সালাম) তিনি আরো বলেন, ওহে জাবের তুমি আমার ৫ম স্থলাভিসিক্ত ইমাম মুহাম্মাদ বা„কর-এর সাক্ষাত পা„বে, তাকে আমার সালাম পৌছে দিও। সূত্রঃ- ইয়ানাবিউল মুয়াদ্দাত-পৃঃ-৪২৭; (বৈরুত) ইব„নে আরাবী- ইবক্বাউল ক্বাইয়্যিম-২৬৬; অধ্যা„য়, মানাকেবে ইব„নে শাহার আশুব, খঃ-১, পৃঃ-২৮২; রাওয়া„নে যা„ভেদ, খঃ-২, পৃঃ-৭২; কিফায়া আল আসার, খঃ-৭, পৃঃ-৭; (পু„রা„না প্রিন্ট) কিফায়া আল আসার, পৃঃ-৫৩, ৬৯; (কোম প্রিন্ট) গায়াতুল মারাম, খঃ- ১০, পৃঃ-২৬৭; ইসবাতুল হুদা, খঃ-৩, পৃঃ-১২৩ ।

(এই প্রবন্ধটি কোরআন ও হাদীসের আলোকে আহলে বাইত(আ.)-ই নাজাতের তরী বা ত্রাণকর্তা গ্রন্থ থেকে সংকলিত)

0
0% (نفر 0)
 
نظر شما در مورد این مطلب ؟
 
امتیاز شما به این مطلب ؟
اشتراک گذاری در شبکه های اجتماعی:

latest article

অবিকৃত গ্রন্থ আল-কোরআন
ইমাম রেজা (আ.)'র কয়েকটি অলৌকিক ঘটনা
কারবালার বিয়োগান্ত ঘটনা : একটি ...
Protest einer Antikriegsgruppe gegen Luftangriff Amerikas auf ein Krankenhaus
খলিফা নির্বাচনের পদ্ধতি
‘বাতিলের মুকাবিলায় ঐক্যই ...
অর্থসহ মাহে রমজানের ৩০ রোজার দোয়া
কোরআন ও চিকিৎসা বিজ্ঞান
শিয়াদের মৌলিক বিশ্বাস (পর্ব-১)
সূরা ইউনুস;(১৭তম পর্ব)

 
user comment