বাঙ্গালী
Friday 19th of April 2024
0
نفر 0

লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা আরসার

মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দ্য আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা)। আজ রোববার টুইটারে এ ঘোষণা দিয়েছে আরসা।

আবনা ডেস্কঃ মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দ্য আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা)। আজ রোববার টুইটারে এ ঘোষণা দিয়েছে আরসা। একই সঙ্গে গত শুক্রবার রাখাইনে একটি সামরিক ট্রাকের ওপর চালানো হামলার দায়ও স্বীকার করেছে গোষ্ঠীটি।
বিবিসির খবরে এ কথা জানানো হয়েছে। আরসার চালানো কথিত হামলার কারণে গত বছর রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছিল। ওই সময় থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬ লাখ ৫০ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশ পালিয়ে এসেছে।
মিয়ানমারের সরকারি সূত্র জানিয়েছে, রাখাইনে গত শুক্রবার ২০ জন ‘চরমপন্থী বাঙালি সন্ত্রাসী’ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে একটি সাঁজোয়া যানের ওপর হামলা চালায়। ওই যানে এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। ওই হামলায় তিন ব্যক্তি আহত হয়।
রোববার টুইটারে বিবৃতি দিয়েছেন আরসার নেতা আতা উল্লাহ। তিনি ওই বিবৃতিতে শুক্রবারের হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। টুইটে তিনি আরও লিখেছেন, ‘রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর আত্মরক্ষা ও রোহিঙ্গা সম্প্রদায়কে রক্ষা করার জন্য মিয়ানমারের সরকারের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।’ একই সঙ্গে বিবৃতিতে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানুষের ‘মানবিক সহায়তা ও রাজনৈতিক ভবিষ্যতের’ জন্য আলোচনা শুরুর আহ্বান জানানো হয়।
মিয়ানমারের সরকারের দাবি, আরসা সন্ত্রাসবাদী সংগঠন। তবে আরসা বলছে, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর রাজনৈতিক অধিকার আদায়ের জন্য সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে তাঁরা।
বিবিসির বিশ্লেষক জোনাথন হেড বলেছেন, হামলা চালানোর কথা আরসা স্বীকার করায় এখন মিয়ানমারের সরকার আরও কঠোর অবস্থানে চলে যেতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, এই দায় স্বীকারের পর রাখাইন রাজ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা ও গণমাধ্যমের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা বজায় রাখার বিষয়ে অনড় অবস্থানে থাকবে সরকার। অন্যদিকে সরকারি বাহিনীর ওপর বাড়তে পারে সন্ত্রাসী হামলা।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলের রাখাইন রাজ্যে আরসা কার্যক্রম চালাচ্ছে। মিয়ানমার সরকারের বিরুদ্ধে রাখাইনে বসবাসকারী রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ রয়েছে। গত বছরের আগস্ট মাস থেকে এই নিপীড়ন ব্যাপক আকার নেয়। ওই সময় থেকেই সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে শুরু করেছে রোহিঙ্গারা। জাতিসংঘ একে ‘জাতিগত নির্মূলের প্রকৃষ্ট উদাহরণ’ বলে অভিহিত করেছে। মিয়ানমারের সরকার অনেক আগে থেকেই রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিতে অস্বীকার করে আসছে এবং তাদের বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী বলে অভিহিত করছে।


0
0% (نفر 0)
 
نظر شما در مورد این مطلب ؟
 
امتیاز شما به این مطلب ؟
اشتراک گذاری در شبکه های اجتماعی:

latest article

সন্ত্রাসবাদ রুখতে ঐক্যবদ্ধ ...
শিশুদের রান্না করে খাওয়ানো হল ...
ইয়েমেনে বিমান হামলা: ব্যাপক ...
সাদ্দামের গোয়েন্দা কর্মকর্তাই ...
পরনিন্দা ও তওবা
নাম বদলে নুসরা ফ্রন্টের ...
বাগদাদে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ; ১৮৭ ...
হযরত ফাতেমা (আ.)-এর শাহাদাত ...
তহবিল সংগ্রহে মানব-অঙ্গ পাচার ...
তুরস্কের নাইট ক্লাবে ...

 
user comment