বাঙ্গালী
Friday 29th of March 2024
0
نفر 0

কারবালা থেকে পশ্চিম তীর-জাগো হুসাইনি সেনা

কারবালা থেকে পশ্চিম তীর-জাগো হুসাইনি সেনা



সত্য ও মিথ্যার দ্বন্দ্ব চিরন্তন। তাই বলা হয়, প্রতিটি ভূমিই কারবালা ও প্রত্যেক দিনই আশুরা।

আজ সিরিয়াতে, ইরাকে, আফগানিস্তানে ও পাকিস্তানে একদল ধর্মান্ধকে লেলিয়ে দিয়ে নিরীহ ও বেসামরিক মুসলমানদের হত্যা করা হচ্ছে। অথচ এই ধর্মান্ধরা মুসলমানদের জাত শত্রু ও দখলদার ইহুদিবাদী ইসরাইলের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এরা মিয়ানমারের অসহায় মুসলমানদের রক্ষার জন্যও কোনো উদ্যোগ কখনও নেয়নি।

আজও আমরা যদি মুসলিম বিশ্বের দিকে লক্ষ্য করি তাহলে দেখতে পাব মুসলমানদের অসচেতনতার সুযোগে নানা মাজহাবের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাধিয়ে ইসরাইলসহ ইসলামের শত্রু পাশ্চাত্য মুসলিম জাহানের ওপর কর্তৃত্ব জোরদারের চেষ্টা করছে।

একদল রাজতান্ত্রিক আরব সরকার আরব হওয়া সত্ত্বেও আরব ফিলিস্তিনিদের কার্যকর সহায়তা দিতে এগিয়ে আসছে না। প্রায় ১০০ বছর ধরে ইহুদিবাদী সন্ত্রাসীদের হত্যাযজ্ঞ ও জাতিগত শুদ্ধি অভিযানের শিকার ফিলিস্তিনিরা মরছে গাজায় ও পশ্চিম তীরে। ওই আরব সরকারগুলোর আচরণকে হযরত ইউসুফ (আ.)’র ভাইয়ের সঙ্গে তুলনা করা যায়। তারা যেভাবে ইউসুফ (আ.)-কে পরিত্যাগ করেছিল কুয়ায় ফেলে দিয়ে ঠিক তেমনি তারা ফিলিস্তিনি জাতিকেও পরিত্যাগ করেছে।

অন্যদিকে হোসাইনি বিপ্লবের আদর্শে অনুপ্রাণিত ইরান, লেবাননের হিজবুল্লাহ ও ফিলিস্তিনের হামাস আজ শাহাদতের পথ ধরে চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের স্বপ্ন দেখছে।

আমেরিকা রাজতান্ত্রিক আরব সরকারগুলোর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। এদের মধ্যে কোনো কোনো সরকার গাজায় ২০০৮ -২০০৯ সালের ইসরাইলি আগ্রাসনে গোপনে ইসরাইলকে সাহায্যও করেছে এবং এখনও হয়ত করছে। গাজার ওপর ইসরাইলি অবরোধেও তাদের একনিষ্ঠ সহযোগিতা রয়েছে। এরা ইসলামের এক নম্বর শত্রু মার্কিন সরকারের কথায় ওঠে ও বসে।

আজ বাহরাইন ও কাশ্মিরের মত অঞ্চলগুলোতেও মুসলমানরা ইয়াজিদী নিপীড়ন প্রত্যক্ষ করছে। অথচ মুসলিম শাসকরা তাদের যথাযথ সাহায্য করতে এগিয়ে আসছেন না। লাখ লাখ মুসলমান ফিলিস্তিন, ভারত, বসনিয়া, চেচনিয়া, কাশ্মীর ও মিয়ানমারের মত দেশগুলোতে শহীদ হয়েছে কথিত আধুনিক এই সভ্যতার যুগে। জাতীয়তাবাদী ও ধর্মনিরপেক্ষ চেতনা তাদের রক্ষা করতে পারেনি। তাই একমাত্র ইসলাম ও বিশেষ করে হুসাইনি বিপ্লবের চেতনাই রক্ষা করতে পারে মুসলমানদের সম্মান এবং জান ও মাল। প্রায় ১৪০০ বছর আগে সংঘটিত কারবালা বিপ্লবের মহানায়ক হযরত ইমাম হুসাইন (আ.)’র শাহাদত ও অমর বাণীগুলো আমাদের ডাক দিয়ে গেছে প্রয়োজনের সময় জেগে উঠতে এবং জুলুমের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ও জনমত গড়ে তুলতে।

আজ আমরা দেখতে পাচ্ছি বিশ্বের অমুসলিম দেশগুলোর মুক্তিকামী জনতাও ইসরাইলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছেন এবং তারা গাজার বিপন্ন মানুষকে রক্ষার জোর আওয়াজ তুলেছেন। মুসলামনদের মধ্যে এই মানবতাবোধ ও স্বাধীনতার চেতনাই জাগিয়ে তুলতে চেয়েছিলেন হযরত ইমাম হুসাইন (আ.)।

হোক্ দুশমন অগণন তবু হে সেনানী! আজ দাও হুকুম

মৃত্যু সাগরে ঝাঁপ দিয়ে মোরা ভাঙ্গবো ক্লান্ত প্রাণের ঘুম! সূত্র:রেডিও তেহরান

 

0
0% (نفر 0)
 
نظر شما در مورد این مطلب ؟
 
امتیاز شما به این مطلب ؟
اشتراک گذاری در شبکه های اجتماعی:

latest article

মিথ্যা কথা বলা
শিয়া-সূন্নীর মধ্যে পার্থক্য কি?
কুরআনে প্রযুক্তি [পর্ব-০2] :: ...
দরিদ্রতার চেয়ে মৃত্যু ভাল
ইফতার ও সেহরীর সময়সীমা
রহমত মাগফেরাত আর নাজাতের মাস : ...
ধর্ম ও রাজনীতি
শিয়া মুসলমানরা কত ওয়াক্ত নামাজ ...
হিজাব সমাজকে পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন ...
ব্যক্তি ও সমাজ জীবনে হিংসার ...

 
user comment